
চকরিয়ায় বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটা। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ ও জীবজন্তুর আবাসস্থল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবনও।
উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি এলাকার ছড়ায় সেলো মেশিন বসিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় অবৈধ বালু উত্তোলন করছেন পরিবেশ বিধ্বংসীরা।
বুধবার ( ৪ জুন) দুপুর থেকে টানা ৪ ঘন্টা বালু খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেব।
স্থানীয় লোকজন জানান, বালি উত্তোলনের কারণে ছড়াখালের আশপাশের গ্রামের বসতবাড়ি গুলো ভাঙ্গন আতঙ্কে সম্মুখীন হচ্ছিল। পাশাপাশি ট্রাক গাড়িতে করে বালু পরিবহনের ফলে স্থানীয় সড়ক ভেঙে পড়ে। এসব বন্ধ না হলে পরিবেশ একেবারে ধ্বংস হয়ে পড়বে। আবাসস্থল হারাবে বন্যপ্রাণী। যারা এসবে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ রক্ষাকারীদের আরও কঠোর হতে হবে।
অভিযানে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তা জুয়েল চৌধুরীসহ বনকর্মী এবং খুটাখালী ভুমি অফিসের স্টাফরা অংশ নেন। অভিযানে খুটাখালী ফুলছড়ি থেকে বালির মেশিন-পাইপ জব্দ করেছে আদালত। পরে জব্দকৃত মেশিন ও পাইপ স্থানীয় বনবিভাগের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুপায়ন দেব বলেন, খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় সেলো মেশিন ও পাইপ জব্দ করা হলেও বালু লুটেরা চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পাহাড় টিলা ছড়া ও নদী যেখানে হোক অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ###