লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি।।
লামা উপজেলার ২নং লামা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে পশ্চিম লাইঝিরি এলাকায় জমি বিক্রয়কে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি বিক্রি করতে গিয়ে মোঃ নুরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি মোঃ ইসাকের পরিবারের বিরুদ্ধে বাধা, হুমকি এবং তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনেছেন। এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং নুরুজ্জামানের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোঃ নুরুজ্জামান গত ৪৫ বছর ধরে ছাগল খাইয়া মৌজার ২৬৭নং হোল্ডিংয়ের এই জমি ভোগদখল করে আসছেন। বর্তমানে তিনি তীব্র আর্থিক সংকটের মুখোমুখি। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ,একমাত্র মেয়ের বিয়ের খরচ জোগাতে তিনি তার দীর্ঘদিনের এই জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।নুরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, “আমি যখন জমিটি বিক্রি করতে যাই, তখন মোঃ ইসাক এর পরিবার আমাকে বাধা দেয়। গত ৬ জুন তারা আমাকে সরাসরি হুমকি দেয় এবং তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের এমন আচরণে আমি আমার পরিবার চরম আতঙ্কে আছি।”তিনি আরও জানান, ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার ২৬৭নং এজমালি হোল্ডিং-এ জাহানারা বেগমের নামে ১.০০ (এক) একর দ্বিতীয় শ্রেণীর জমি রেকর্ডভুক্ত আছে। এছাড়াও তিনি ছাদেক আলীর নিকট থেকে রেজিস্টার্ড বায়নানামা দলিল নং-৩৬৫/২০১১ মূলে আরও ১.০০ (এক) একর জায়গা ক্রয় করেন। নুরুজ্জামানের দাবি, তারা এই জমিতে দীর্ঘকাল ধরে বহু অর্থ ও কায়িক পরিশ্রমে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করে ফলজ ও বনজ বাগান সৃজন করেছেন।এ বিষয়ে মোঃ ইসাকের পরিবারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুরুজ্জামান এবং মাসুক মিয়ার পরিবারের মধ্যে এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে নুরুজ্জামানের পরিবার স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এই জমি বিরোধের জেরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।