লামা(বান্দরবান) প্রতিনিধি।।
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মধ্যম হায়দারনাশী এলাকায় সোমবার (৯ জুন ২০২৫) দুপুরে ফরিদুল আলম বাবলুর বাড়িতে কথিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে একটি মিথ্যা অভিযোগ এবং সাজানো ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদুল আলম বাবলুর পরিবারের সঙ্গে হারুন (৪৪), কুতুব উদ্দিন প্রকাশ গুরা সোনাইয়া (২৪), জয়নাল আবেদীন মিন্টু (৩০), মোঃ মামুন (৪৬), নজরুল ইসলাম (৪৪), মোঃ বাপ্পি (১৮), মিরাজুল শিহাব মোঃ ওয়াহেদ (৩৪), মিনুয়ারা বেগম (৩২), আরফা বেগম (৩৬), ও মিশু (২৬) সহ মোট ১১ জনের দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। অভিযোগ করা হয়েছিল, এই ১১ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন।
তবে স্থানীয়দের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন চিত্র। তাদের দাবি, কথিত এই হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এলাকাবাসীর মতে, বারুদ ফুটিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে সেটিকে গুলির শব্দ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। স্থানীয়রা আরও জানান, এই জমি বিরোধের জেরে বিভিন্ন সময়ে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করা হচ্ছে। বর্তমান অভিযোগটিও সেই হয়রানির অংশবিশেষ বলে মনে করছেন তারা।এই বিষয়ে ফরিদুল আলম বাবলু বলেন, "আমার বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে এবং বিভিন্ন মালামাল লুট হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, আপনারা দেখতে পেয়েছেন। আমি সুষ্ঠু তদন্ত চাই।"তবে এলাকাবাসী এই মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে, নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করার এবং নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি থেকে রক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।