কক্সবাজারের চকরিয়া রামপুর মৌজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের ঘেরে বুধবার ভোররাতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা এলকার শামসুল আলমের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন(২৮),একই এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে আক্তার হোসেন(২৭),আবুল হাসেমের ছেলে রাসেল(২৮) ও সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার লালুর ছেলে আবুল হাসেম(২৬)।
গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের তালিকাভুক্ত মৎস্য ব্যাপারী আবদুল হামিদ বলেন,বুধবার ভোররাত তিনটার দিকে চকরিয়া উপজেলার চিংড়ি জোনের রামপুর মৌজায় ৩০০ একর আয়তনের এই ঘেরে ডাকাতির বিষয়টি ফাউন্ডেশনের খামার ব্যবস্থাপক উৎপল কান্তি চৌধুরী জানান, বুধবার সকাল থেকে অপর ব্যবসায়ী আমির হোসেন,মনজুর আলম ও বেলালকে সাথে নিয়ে ডাকাতির সাথে জড়িতদের সনাক্তে কাজ শুরু করি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সরাসরি জড়িত ৫জন কে পাকড়াও করে পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ আসার পুর্ব মুহুর্তে সওদাগর ঘোনা এলাকার ছৈয়দ আহমদ এর ছেলে মহিউদ্দিন(২৭) কৌশলে পালিয়ে গেলেও ৪ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হয় এলাকাবাসী।
মৎস্য ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন,আটককৃতরা সবাই ওই ডাকাতির সাথে জড়িত বলে শিকার করে লুটকরা দুটো মোবাইল ফোনসেট পুলিশের কাছে জমা দেয়। এই ডাকাতির ঘটনায় মোট ৭ জন অংশ নেয় বলেও জানান ডাকাতরা।চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিৎ দাশ ও চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.শফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রামীণ মৎস ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের মৎস ঘের পরিদর্শন করেন।চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের খামারে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং জড়িত বাকিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।###