পুলিশ জানায়, চকরিয়া থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একব্যক্তির বসতঘরে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পেয়েছে। এসময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরীর মেশিন ও সরঞ্জাম। মঙ্গলবার রাতে নুরুল আলমের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওইসময় অস্ত্র তৈরীর বিপুল পরিমান সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে দেশীয় অস্ত্রের তৈরিকৃত কাঠের বাটসহ বডি, দেশীয় অস্ত্র তৈরির ব্যারেল, চায়না রাইফেলের গুলির খালি খোসা ১টি, ৩০৩ রাইফেলের গুলির খালি খোসা ১টি, মাথাভাঙ্গা গুলি ১টি, ১২ (বোর) শর্টগানের কার্তুজ ২টি, কাতুর্জের খালি খোসা ১টি, দেশীয় অস্ত্র তৈরির লোহার পার্টস ৪পিস, দেশীয় অস্ত্রে ব্যবহৃত তৈরিকৃত ট্রিগার ৯টি. দেশীয় তৈরি অস্ত্রের ফায়ারিং পিন ৫টি. দেশীয় অস্ত্র তৈরির মেশিন, যাহার নাম বাইচ, যাহা কাঠের সাথে সংযুক্ত, দেশীয় অস্ত্র তৈরির স্প্রিং ২টি, দেশীয় অস্ত্র তৈরির স্প্রিং ছোট ১২টি, দেশীয় অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত ওয়েলডিং মেশিন ১ টি, ড্রিল মেশিন ১টি, ড্রিল মেশিনের ফল ছোট-বড় মোট ৩০টি, গ্র্যান্ডিং মেশিন ১টি, মেশিনের ব্রেড ১৩টি, দেশীয় অস্ত্র তৈরির বাটের যোগান লোহার তৈরি ছোট-বড় ৪পিস, ১টি কাঠের হাতলযুক্ত দা, ১টি লোহার হাতলযুক্ত দা, দেশীয় অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত লোহার বাটাইল ৬টি, লোহার হাতুড়ি ২টি, ক্রু ড্রাইভার ৩টি, করাত ২টি, শান পাথর ১টি, আড়ি ব্রেড ফ্রেমসহ ১টি, রেত ৬টি, প্লাস ২টি. শেলাই রেখা ১টি, দেশীয় অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত ছোট ছোট লোহার অংশ বিশেষ ৩০ টি, দেশীয় অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত ওয়েল্ডিং রড ১৬টি।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রের কারিগর নুরুল আলম নিজের ঘরে দেশীয় তৈরী বন্দুক এর কাখানা গড়ে তুলেছে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র বিক্রি করা হত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র তৈরীর কারিগরকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।