কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার সবুজবাগ এলাকায় অসহায় একব্যক্তির জায়গার উপর জোরপূর্বকভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে। দিনরাত ২০-৩০ জন সশস্ত্র লাঠিয়াল বাহিনী পাহারা বসিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ভবন নির্মাণে বাধা দেয়ার চেষ্ঠা করলে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্য সায়েদ মোহাম্মদ নাছির।
শনিবার (১৭ মে) রাত দশটার দিকে চকরিয়া প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যগণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সায়েদ মোহাম্মদ নাছির জানান, চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকায় চিরিঙ্গা মৌজার মূল বিএস ৭০ নং খতিয়ানের সৃজিত বিএস ৮১১ নং খতিয়ানের ৬৩ দাগের তার পিতা মৃত নুরুল ইসলামের নামে দুই খন্ডে প্রায় ৪৬ কড়া জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ছোট খন্ডের প্রায় ১০ কড়া জায়গার চারপাশে টিনের ঘেরা দিয়ে ভোগদখলে রয়েছেন তার পরিবার। সম্প্রতি সবুজ এলাকার জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের দখলীয় উক্ত ১০ কড়া জমিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে চকরিয়া উপজেলার পশ্চিমবড় ভেওলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দরবেশকাটার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীনের পুত্র মমতাজ উদ্দিন আকতার ও তারেকুল ইসলামের গংয়ের। গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের জমি দখলের জন্য সশস্ত্র মহড়া দিয়ে যাচ্ছেন ভূমিদস্যুরা।
নাছির বলেন, তাদের জমি দখলের বিষয়ে বাধা দিলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন ভূমিদস্যু মমতাজ ও তারেক গং। তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে কয়েকদিনের মধ্যে জমিতে ভবন নির্মাণের হুমকি দেন। ভূমিদস্যুদের চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে উক্ত ১০ কড়া জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের জন্য ইট, বালি, সিমেন্ট, রড ও কঙ্কর এনে জমায়েত করে। গত ৫-৬দিন ধরে ভূমিদস্যুরা ২০-৩০ জন সশস্ত্র লাঠিয়াল বাহিনী এনে তাদের জায়গাতে পাইলিংয়ের কাজ শুরু করছেন। এতে ভূমিদস্যুদের বাধা দেওয়ার চেষ্ঠা করলে প্রাণনাশের হুমকি দেন। একপর্যায়ে তারা সেখানে মাটি খনন করে গর্ত করত: ভূমির ব্যাপক ক্ষতি করে। নির্মাণ সামগ্রী স্তুপ করে রাখার কারণে ভূমির অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৭ মে ভূমিদস্যু মমতাজ উদ্দিন আক্তার গংয়ের বিরুদ্ধে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এমআর মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং ১১৭/২০২৫। আদালত চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। পাশাপাশি চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ওই জায়গাতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে ভূমিদস্যুরা। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আইনের তোয়াক্কা করছেন না। থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে দিনরাত ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ভুক্তভোগি পরিবারটি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##