চকরিয়া পৌরসভায় ১নং ওয়ার্ডে মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ জানিয়েছেন। এসব অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ফসলি জমির সবজি ক্ষেত নষ্ট,মসজিদ,মাদ্রাসা, কবরস্থানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে।
অবৈধ বালু উত্তোলনে ফলে আগামী বর্ষায় মৌসুমে শতাধিক বাড়ীর ঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে চকরিয়া পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের আমাইন্নারচর এলাকার। বালুদস্যুরা সমাজের প্রচলিত আইনকানুন না মেনে শহর রক্ষাবাঁধ ও কৃষিজমি নষ্ট করে মাতামুহুরী নদী থেকে স্কেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে সরাসরি বালু উত্তোলন করছে।
এমনকি বালুদস্যুদের বাধা দিতে গেলে প্রতিবাদকারী সমাজের লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রাতারাতি বেড়িবাধ কেটে ফসলি জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরী করে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে।
কবরস্থান,মসজিদ-মাদ্রাসার পবিত্রতা ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নিরীহ লোকজনের কৃষি জমি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসম্মুখীন হচ্ছে।
মারাত্মকভাবে ধংস হচ্ছে পরিবেশের। এলাকার সচেতনমহল উল্লেখিত বালুদস্যু আমান্যারচর এলাকার জসিম , বেতুয়া বাজারের ছরেওয়াসহ তার সিন্ডিকেট গংয়ের বিরুদ্ধে এবং অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর এম নুরুস শফি, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রাশেদা বেগম,মাষ্টার গিয়াস উদ্দিন জানান,অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে সরকারী কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত বেড়িঁবাধ মাতামুহুরী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো আতিকুর রহমান জানান,অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।###