চকরিয়া উপজেলা উত্তর হারবাং গোলাম ছোবহান মিয়া ঘোণা হাজী ফরিদুল আলমের মেয়ে আজিজা সোলতানার(৩৫) ভোগ দখলীয় জমিতে প্রভাব কাটিয়ে জোর পূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে মুর্শেদ আলম মানিক ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। জমি দখলের সময় বাঁধা দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, দা, কিরিস নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে হাজী ফরিদুল আলমের মেয়ে আজিজা সোলতানা ও উসমান গণির স্ত্রী শামীমা আক্তার মুন্নিকে।
শুক্রবার ( ২৫ এপ্রিল) রাত ১০ টায় উত্তর হারবাং ৯ নং ওয়ার্ড গোলাম সোবহান মিয়া পাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আজিজা সোলতানা জানান, চকরিয়া উপজেলা হারবাং মৌজার আর.এস ২২২০ নং খতিয়ানের ২৫৯/চ নং দাগের বি.এস ১৬৫১১ নং দাগের ১.৫০ একর জমিতে দোকানসহ বনজ গাছ বেষ্টিত কাটা তারের ঘেরা বেড়া দিয়ে দেখভাল করে আসছি। এতে লোলুপ পড়ে মুর্শেদ আলম গং এর। তাদের কোন জমির্ না থাকার স্বত্তেও প্রভাব কাটিয়ে জায়গাটি দখলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এনিয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবগত করছি। গত ২৫ তারিখ রাতে সালিসি বৈঠক না করে আগামী ২ মে সালিসি বৈঠকে বসবে বলে বিচারাধীন স্থান ত্যাগ করে মানিক গং।
তিনি আরও জানান, একই দিনে রাত ১০ টায় মানিক ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে দখলীয় জমিতে অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ভূমিদস্যু মানিক ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনীরা বাঁধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উপর অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে আজিজা সোলতানা( ৩৫) ও উসমান গণির স্ত্রী শামীমা আক্তার মুন্নী(২৬) সহ আরও ৩ জন। এসময় ভূমিদস্যুরা ২ টি টিবিএস মোটরসাইকেল, ২ টি পালসার মোটরসাইকেলও ভাংচুর চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। এতে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে তারা। প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকিতে আতঙ্কে দিন গুনছে ভুক্তভোগী পরিবার। প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
হামলাকারীরা হলেন, মুর্শেদ আলম মানিক (৪৮), তার স্ত্রী শিউলি বেগম( ৪০)সহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন।
এঘটনায় মুর্শেদ আলম মানিককে প্রধান আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী আজিজা সোলতানা।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি( ভারপ্রাপ্ত) মো শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছি। তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।###