চকরিয়া থানার সামনে মারধর ও সর্বস্ব ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে মানবজমিন পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক মোহাম্মদউল্লাহ।
বুধবার (৫ মার্চ) রাত আটটার দিকে চকরিয়া থানার প্রধান ফটকের পাশে তৌহিদ সিকদার নামে এক যুবকের নেতৃত্বে চার পাচঁজন মহিলা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ।
এজাহার সুত্রে সাংবাদিক মোহাম্মদউল্লাহ জানান; তৌহিদ সিকদার নামে এক যুবক তাঁর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে পরিকল্পিত একটি জিডি করে। ভিত্তিহীন এই জিডি করার কারণ জানতে চাইলে সে মোহাম্মদউল্লাহ কে নানাভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি দেয়। একই দিনে সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ চকরিয়া ভূমি অফিস সংলগ্ন একটি রেষ্টুরেন্ট থেকে নাস্তা করে নিজ অফিসের দিকে রওয়ানা দিলে ওই সময় থানার প্রধান ফটকের দশ গজ দক্ষিণে তাঁর ব্যবহৃত গাড়ির গতিরোধ করে তৌহিদ সিকদার নামে এক যুবক। মুহূর্তের মধ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চার-পাঁচ জন মহিলা নিয়ে এসে মোহাম্মদ উল্লাহ কে মারধর করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। এ-সময় তাঁর ব্যবহৃত ডিসকাভার (125) মোটরসাইকেলটি ফেলে প্রাণে বাঁচাতে দ্রুত থানা প্রাঙ্গণে ঢুকে পুলিশের আশ্রয় নেন।
তিনি জানান, এবিষয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি। থানার সামনে আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে যে পরিমাণ লাঞ্ছনার শিকার হলাম তা সত্যিই লোমহর্ষক। আশা করি চকরিয়া থানা পুলিশ এঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর আলি বলেন, এমন ন্যক্ক্যারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। থানা পুলিশের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
চকরিয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ইয়াছিন মিয়া বলেন, এই ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। এমন ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয়। সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহর এজাহার পেয়েছি। আইনি পক্রিয়া চলমান।