চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর আলমের ডানহাত প্রখ্যাত গরুচোর ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন এর স্বীকারোক্তি মোতাবেক দেশীয় তৈরী এক নলা বন্দুক, একটি এলজি ও ৬ রাইন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার ভোররাতে সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় নবী হোছাইনের নিয়ন্ত্রণাধীন কলোনির একটি বাসার বাথরুম থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। নবী হোছাইন সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কোরালখালী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।জানা গেছে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের গরু চোর খ্যাত নবী হোছাইন। তার বিরুদ্ধে গরু চোরের অভিযোগ রয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তার সিন্ডিকেট রয়েছে। এসব এলাকায় যেত গরু চুরি হয় তা সাথে কোন না কোনভাবে তার সিন্ডিকেটের সম্পৃক্ত রয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তার অপরাধ আড়াল করতে সাবেক এমপি জাফর আলমের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন। জাফর আলমের বদান্যতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এরপর থেকে তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রæয়ারী হত্যা, ডাকাতি, পুলিশ এসল্ট ও গরু চুরিসহ বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেণ্টভুক্ত আসামী নবী হোছাইনকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
পরে তাকে চকরিয়া থানা হস্তান্তর করা হয়। থানা পুলিশ তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় নবী হোছাইনের নিয়ন্ত্রণাধীন কলোনির একটি বাসার বাথরুম থেকে একটি এক নলা বন্দুক, একটি এলজি ও ৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, হত্যা, ডাকাতি, পুলিশের উপর হামলা ও গরু চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মের হোতা নবী হোছাইন। অবশেষে ১৫ ফেব্রæয়ারী চট্টগ্রামের চকবাজার থানা পুলিশ চকবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান, তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক অভিযান চালিয়ে কোরালখালী এলাকার একটি কলোনী থেকে দেশীয় তৈরী দুটি বন্দুক ও ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে।###
তাছাড়া তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২২টি মামলা রয়েছে। কিছু মামলায় জামিনে থাকলেও অধিকাংশ মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে।