কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালামার ছড়া ফকির জোম পাড়া এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষক রিদুয়ানুল মোস্তাফার বসতবাড়ি ভাঙচুর ও বসতবাড়ি দখলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাকিমুল হক তামজিদ ও তার বাহিনী। রিদুয়ানুল মোস্তাফা ওই এলাকার মৃত ছাবের আহমেদ এর পুত্র। মোস্তাকিমুল হক তামজিদ কালারমার ছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারী) খবর পেয়ে সকালে প্রতিষ্টান থেকে বাড়ি এসে ভুক্তভোগী স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানালে মোজাম্মেল হক ও তার স্ত্রীসহ আরও ১০/১২ জন বাড়িতে ঢুকে মালামাল লুট করে। বাড়ি ভাংচুর চালায়। বর্তমানে বাড়িটি তার দখলে রয়েছে। এসময় রিদুয়ানুল মোস্তাফা বাঁধা দিলে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এসময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও ভাংচুর করে। এতে ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষকের প্রায় ৬ লাখ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে।তিনি বর্তমানে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী আরো জানান, ওই এলাকার বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাকিমুল হক তামজিদ দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাদাবী করে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে তার বসতঘর ভাংচুর করে আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এছাড়া বাড়ি নির্মাণে ইট, সিমেন্ট ও লোহা প্রায় ৬ লাখ টাকার মালামাল সরিয়ে ফেলে। বর্তমানে তারা বসতবাড়ি পুরো দখল করে বাড়িতে অবস্থান করছে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি ।
অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়য়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কায়সার হামিদ জানান, ঘটনার বিষয়ে কেউ তাকে অবগত করে নাই। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।###