কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
চকরিয়া উপজেলা কোনাখালী ইউনিয়নে পুরিত্ত্যাখালী এলাকায় মাছের প্রজেক্টে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতেরা বিকল করে প্রায় ৮০ লাখ টাকার রুই, কাতাল, পাংকাস ইত্যাদি মাছ ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিলে পজেক্টে থাকা মালিক শহীদুল ইসলামকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ডাকাতেরা। তারা যাওয়ার পর গুরুত্বর আহত শহিদুল ইসলামকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর ) রাত ১টার দিকে উপজেলা পুরিত্ত্যাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে গুরুতর আহত শহিদ চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু পজেক্ট মালিক জানায় ডাকাতদের সন্ধান পেয়েছেন তিনি।
প্রজেক্টের মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় যুবদলের সভাপতি মোঃ সালাহউদ্দিন ও বিএনপি নেতা কলিমুল্লাহ মুঠোফোনে প্রজেক্ট মালিকের কাছ থেকে দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে তাদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী প্রজেক্ট মাছ,বাসার আসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় প্রজেষ্ট মালিক।
এ ডাকাতিতে ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শামসু, মোহাম্মদ সাদ্দাম,বাবুল,
বেলাল হোসেন।১নং ওয়ার্ডের রাসেল,৪নং ওয়ার্ডের মুবিন,৩নং ওয়ার্ডের কফিল,দুই নং ওয়ার্ডের মনির একদল সন্ত্রাসী। প্রজেষ্ট মালিক শহীদকে সালাউদ্দিন ও কলিমুল্লা বলছে যদি প্রজেষ্ট রক্ষা করতে চাইলে ১লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা না দেওয়ায় এসব কান্ড ঘটিয়েছে বলে জানায়।
প্রজেষ্টের পাহারাদার মোহাম্মদ হাসান জানায়-রাত ১টার দিকে হঠাৎ ৪০ থেকে ৫০ জনের একদল সন্ত্রাসী প্রথমে এসে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এরপর চালায় তান্ডব। সন্ত্রাসীরা পজেষ্টের সমস্ত মাছ,গাছের পেঁপে,বাসার সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা এ লুটপাটের নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন।
ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীরা প্রজেষ্ট মালিক ও পাহারাদারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে জানিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।