দেশ রিপোর্ট ডেস্কঃ
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে “প্রজেক্ট ১৯” সফলভাবে শেষ করার পর এবার পেকুয়া উপজেলায় “প্রজেক্ট ৭” সম্পন্ন করেছেন পরিবেশ প্রেমী তরুণ সাইক্লিস্ট মোহাম্মদ রাফফান। চকরিয়া ইজি রাইডার্স বাইসাইকেল ক্লাব ও এম.আর কম্পিউটার্সের সহযোগিতায় পরিচালিত এই প্রকল্পে তার মূল বার্তা ছিল—”সাইকেলে চড়ে, দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ুন” এবং “সাইকেলে চড়ুন, প্রকৃতিকে অনুভব করুন।”
**প্রকৃতিকে ভালোবাসা ও সাইক্লিংয়ের প্রতি রাফফানের আবেগ**
সাইকেল চালনার প্রতি রাফফানের ভালোবাসা সেই শৈশব থেকেই। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা আর সাইক্লিংয়ের প্রতি এই আগ্রহ থেকেই প্রজেক্ট ৭-এর উদ্যোগ নিয়েছেন। রাফফান বলেন, “সাইকেল আমার ভ্রমণের সঙ্গী, যা আমাকে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যায় এবং জীবনকে নতুনভাবে দেখতে শেখায়।”
**পেকুয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে অভিযান**
প্রজেক্ট ৭-এর অধীনে রাফফান পেকুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন—উজানটিয়া, রাজাখালী, টৈটং, বারবাকিয়া, পেকুয়া, মগনামা, ও শীলখালী পরিদর্শন করেছেন। প্রত্যন্ত গ্রাম ও নদী, পাহাড়, এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় পরিবেশ তাঁকে মুগ্ধ করেছে। এই যাত্রায় রাফফান স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রা, তাদের সংগ্রাম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা দিকের সঙ্গে পরিচিত হন।
**অভিযানের লক্ষ্য**
দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়তে এবং মানুষকে পরিবেশের প্রতি সচেতন করতে পেকুয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি করেন রাফফান। “সাইকেলে চড়ে, দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ুন” বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য পুরো যাত্রায় মানুষকে সংযুক্ত করেন। রাফফান বলেন, “সাইকেলের চাকা ঘুরানোর প্রতিটি মুহূর্তে আমি প্রকৃতির সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। নদী, পাহাড় ও সবুজের বিশালতা আমাকে প্রকৃতিকে আরো কাছ থেকে অনুভব করতে সাহায্য করেছে।”
**পেকুয়ার প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের সম্ভার**
কক্সবাজার জেলার উত্তরাংশে অবস্থিত পেকুয়া উপজেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। দক্ষিণে মাতামুহুরী নদী, পশ্চিমে কুতুবদিয়া চ্যানেল, এবং কোহেলিয়া নদীর মতো বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরেছেন রাফফান। তিনি জানান, “পেকুয়ার মানুষের জীবনযাত্রা, হাসি-কান্না ও সংগ্রামের গল্পগুলো আমাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে।”
**প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতা ও সফল অভিযানের আনন্দ**
এই সাইকেল অভিযানের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার গুরুত্ব ও দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ার আহ্বান ছড়িয়ে দিতে পেরে রাফফান আনন্দিত। তিনি বলেন, “অভিযানের মাধ্যমে মানুষ, সংস্কৃতি এবং প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। পেকুয়ার মানুষের অতিথিপরায়ণতা এবং প্রকৃতির নিবিড় ছোঁয়া আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।”
মোহাম্মদ রাফফান সাইকেলে চড়ে পরিবেশের প্রতি মানুষের যত্নশীল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে চান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতে আরো অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
“চলুন সাইকেলে চড়ি, প্রকৃতিকে অনুভব করি; সাইকেলে চড়ি, দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ি।”