আরাফাত হোছাইন, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
চকরিয়া মালুমঘাট সাংগঠনিক ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ( ২৮ অক্টোবর) বিকেলে মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুলের মাঠে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সহ- প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন মিন্টুর সভাপতিত্বে এবং মালুমঘাট সাংগঠনিক ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় সমাবেশের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মালুমঘাট সাংগঠনিক ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার আনোয়ার হোসেন।
এসময় প্রধান বক্তা ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও লেখক এ এম ওমর আলী।
বিশেষ বক্তা ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো, জকরিয়া।
অতিথিরা বলেন, ২০০৬ সালে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর হামলা শিকার হয়ে যারা মৃত্যু বরণ করেন তাদের রোহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়ে দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে গেছে। তার দোসদের রেখে গেছে। এখন তাদের শক্তি, সাহস দেওয়া মতো বাংলাদেশে আ.লীগ নাই। বাংলাদেশে এসে যদি আবারও অরাকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের প্রতিহত করতে যুবদল সদা প্রস্তুত। এদেশ থেকে আ.লীগকে নির্মূল করা হবে।
যুবদল বিএনপির শক্তি, বিএনপির শক্ত হাত, যুবদলে স্বৈরাচার প্রেতাত্মাদের স্থান হবে না। যারা বিগত সালে নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে আসছে তারাই দলের প্রাণ। যারা ২০০৬ সালে হাসিনা আহমেদের উপর হামলা করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
তারা আরও বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সংগঠন ঝিমিয়ে পড়েছে।
দেশ নায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে প্রতিটি সদস্যদের আন্তরিকতার সাথে কাজ চালিয়ে যাবার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, মালুমঘাট সাংগঠনিক বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজির আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জসিম উদ্দিন, মনজুর আলম, আলী আহমেদ মেম্বার, নুরুল আলম (সও), আজিজুল হক( সও), পেকুয়া বিএম ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ক্রীড়া সংগঠক ও সমাজকর্মী এম আর মাহবুব প্রমুখ।
দিনব্যাপি এই কর্মী সমাবেশে যুবদল নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে পুলিশের হাতে হামলা-মামলা সহ সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া নেতা-কর্মীদের নানা সমস্যার কথা শুনেন এবং আগামীতে দলের প্রয়োজনে কে কি দায়ীত্ব পালন করতে ইচ্ছুক তাদের মতামত গ্রহন করে।